বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে জমা দেয়া আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আজ রোববার দুপুরে বগুড়ার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েও মনোনয়নপত্রে নিজেকে স্বতন্ত্র দাবি করেছেন। সেই ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থন ফরমও তিনি জমা দেননি৷
তিনি আরও বলেন, মনোনয়নপত্রের হলফনামায় আশরাফুল হোসেন সম্পদের বিবরণী জমা দেননি৷ এছাড়াও তিনি মনোনয়নের হলফনামাতে স্বাক্ষরই করেননি। এসব কারণে আশরাফুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলেম। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে হিরো আলম সেসময় বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করবো না’।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘প্রতিবছরই বাতিল হয়। এটা কোনো বিষয় নয়।’
গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন তুললেও অবশেষে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত জাতীয় জোটের গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি) থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন হিরো আলম।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকের প্রশ্ন- তিনি তো মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু ভোট কেন অন্য দলের হয়ে করছেন? আসলে এই প্রশ্নের জবাব হিরো আলম দিয়ে রেখেছিলেন আগেই। তিনি জানিয়েছিলেন যে- প্রজন্মলীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সংগঠন। নামের সাথে ‘লীগ’ আছে কিন্তু এটি একটি সংগঠন ছাড়া কিছু নয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে হিরো আলম আলোচনায় আসেন। বিশেষ করে বগুড়ায় উপনির্বাচন করে সবার নজর কেড়েছেন। সেখানে দুটি আসনে উপনির্বাচন করে একটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন এ অভিনেতা। ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার না হয়েও নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফের আলোচনায় এসেছিলেন। এবারও আলোচনায় এলেন শেষ মুহূর্তে দল পরিবর্তন করে।